Indian Cancer Treatment

+91 9051161900 / +8801744-415158

contact@indiancancertreatment.com

Blog

How To Choose Hospital for Cancer Treatment

আজকে আমরা আলোচনা করব ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য বা চিকিৎসার জন্য কিভাবে হাসপাতাল চুস করতে হয়।

#ক্যান্সার বা কর্কট রোগ এমনই এক মারণব্যাধি যেটা শুনলে আমাদের সবারই ভয়ে প্রাণ শুকিয়ে আসে। একটু ধাতস্থ হবার পর যখনই আমরা পরবর্তী চিকিৎসা কথা ভাবি তখনই আমাদের মনের মধ্যে কয়েকটা স্পেসিফিক হসপিটাল এর নাম ভেসে ওঠে যেগুলো ভারতবর্ষের দক্ষিণ প্রান্তে এবং পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। তারপর ? তারপর সবাই ছোট সেই হসপিটাল গুলো তে । ভারতবর্ষের বাইরে ও বহু দেশ বিদেশ থেকে রুগী আসে সেই দু একটি মাত্র হসপিটালের ভরসায় যদিও ভারতবর্ষের মানুষজন এখন সেই দুটি হসপিটাল এর উপর নির্ভর করে না।

আমি আমার আগের একটি ক্যান্সার সংক্রান্ত আর্টিকেলে বলেছিলাম যে ক্যান্সারের চিকিৎসায় মূল যে বিষয় তিনটি টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় সেটা হচ্ছে

১. #সময়

২. #সময়

৩. #সময়

যত #দ্রুত #চিকিৎসা শুরু হবে ততো ক্যান্সার ঠেকানো সম্ভব বা কিছু কিছু ক্যান্সার এর #নিরাময় ও সম্ভব কিন্তু ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু হতে হবে খুব দ্রুত।

এটা আমাদের সাধারণ বাঙালি মানুষের দুর্ভাগ্য বা অজ্ঞানতা যে আমরা এই সময় ব্যাপারটা পুরোপুরি অগ্রাহ্য করি। সাধারণ লোকের কথায় যারা মেডিকেল বিষয় সম্বন্ধে বিশেষ কিছু একটা জানে না তাদের কথার উপর নির্ভর বা ভরসা করে আমরা ছুটি সেই চিরাচরিত দু একটি হাসপাতালে। ফলাফল ! সেখানে সুদীর্ঘ লাইন , অ্যাপয়নমেন্ট পেতে অনেক সময় , তারপর চিকিৎসা শুরু করতে আরো অনেক সময় তারপর আসে তার সংশ্লিষ্ট সার্জারি তারপর রেডিয়েশন এই করতে করতে কোথা দিয়ে যে মাস দুই তিন চলে যায় সেটা বুঝতে পারে না এবং এর চিকিৎসা শুরুর আগে যে মাস দেড়েক সময় চলে যায় নির্ণয় এবং অস্ত্রোপচারের আগে অব্দি , এতে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে যথেষ্ট সময় পেয়ে যায়।

তাহলে এর অর্থ কি দাঁড়ালো যে আমরা না জেনে শুনে আমাদের অজ্ঞতার কারণেই কিছু বিশেষ হাসপাতালে ভিড় বাড়িয়ে আমাদের নিজেদের প্রিয়জনের #জীবনহানির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছি।

আসুন একটু বোঝার চেষ্টা করি যে একটা আদর্শ ক্যান্সার হসপিটালে আমরা কি কি সুবিধা পেতে পারি বা কি কি সুবিধা বা ফ্যাসিলিটি দেখে আমাদের ক্যান্সার হসপিটাল চুস করা উচিত।

ক্যান্সার যেহেতু একটা টিউমার যে টিউমারটা হঠাৎ করে ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে তখন সেটাকে বলে মেটাস্টাসিস তারমানে ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু ক্যান্সার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে বিভিন্ন অঙ্গ কে আক্রান্ত করে সুতরাং ক্যান্সার এর ট্রিটমেন্ট এর জন্য কোন একটি নির্দিষ্ট ডিপার্টমেন্ট কখনোই সব হতে পারে না ক্যান্সার এর ট্রিটমেন্ট এ একাধিক ডিপার্টমেন্টের একযোগে একসাথে কাজ করতে হয়।

উদাহরণ হিসেবে বলছি যদি কারুর ব্রেস্ট ক্যান্সার হয় সেটা প্রথম দিকে ব্রেস্ট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও আস্তে আস্তে লিম্ফ্যাটিক গ্ল্যান্ড ধরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে সুতরাং এই ক্যান্সার রোগী কে প্রথমে মেডিকেল অনকোলজি তে দেখাতে হবে তারপর দরকার হলে গাইনী ডিপার্টমেন্ট এর সাহায্য লাগতে পারে এবং আরও ছড়িয়ে পড়লে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সাহায্য প্রয়োজন।

ঠিক তেমনি যদি কারোর লিভার ক্যান্সার হয় এবং সেটা যদি ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে, তখন কিন্তু লিভার বিশেষজ্ঞের সাথে পালমোনোলজিস্ট সাহায্য লাগবে তার সঙ্গে মেডিক্যাল অনকোলজিস্ট এবং সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট এবং তার ওপরে রেডিয়েশন অনকোলজিস্ট এই তিনটে স্পেশালিটি বা ডিপার্টমেন্ট এর একসাথে কাজ করা দরকার।

আর এই বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর মধ্যে কোঅর্ডিনেশন টা খুব দ্রুত এবং একসাথে হতে হবে তবেই কিন্তু একটা রোগী সেরে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে বা তার জীবনকাল দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সুতরাং আমার এই বক্তব্যের সারমর্ম হলো যেখানে ক্যান্সার চিকিৎসা করাতে অনেক সময় লাগবে বা অনেক সময় লাগে সেখানে কখনই এই কোঅর্ডিনেশন ব্যাপারটা দ্রুত হয় না সেখানে যাওয়া মানে এক দিকে চিকিৎসা হওয়া অন্যদিকে দ্রুত তার অবস্থার অবনতি ও হওয়া।

সুতরাং আপনার ক্যান্সার রোগীর জন্য যখন হাসপাতাল সিলেক্ট করবেন তখন এমন হসপিটাল সিলেক্ট করবেন না যেখানে সারা দেশের মানুষ হাজির হয়েছে তাদের অজ্ঞানতার জন্য । সিলেক্ট করবেন সেখানে ,যেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া খুব দ্রুত হয়।

এবার চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে আসি চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে সবথেকে বড় ফাঁরাক তৈরি করে দেয় , কোন হসপিটাল টেকনোলজিক্যালই কতখানি উন্নত বা কোন হসপিটাল ক্যান্সার সংক্রান্ত টেকনোলজি গুলোকে কত আধুনিক ভাবে প্রয়োগ করতে পারছে তার উপর । আর এখানে কিন্তু একটা হাসপাতালে মুনশিয়ানা তৈরি হয়ে যায়।

প্রথমে আসি সার্জারির কথা। সার্জারি যেহেতু টিউমার এর উপর হয় সুতরাং টিউমারটা কত নিখুঁতভাবে অপারেশন করা সম্ভব হলো তার উপর ডিপেন্ড করছে প্রাথমিক ধাপ টা। সাধারণ হাসপাতালে একটা টিউমার কেটে ফেলা হয়, কাটার পর সেই ক্ষতস্থান টাকে জোড়া লাগানো হয় ,জোড়া লাগার পর পরবর্তী চিকিৎসা করা হয় কিন্তু এখানেই যদি টিউমার এর কোন অংশ থেকে যায় সেটা কিন্তু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে সুতরাং যে সমস্ত হসপিটাল #ইন্ট্রো অপারেটিভ #এমআরআই সিস্টেম (#Intra_Operative #MRI ) ইউজ করছে তারা কিন্তু অপরেশনের সঙ্গে সঙ্গেই অপারেশন থিয়েটার এর মধ্যেই MRI করে দেখে নেয় #টিউমারের কোন অবশিষ্ট আছে কি না। থাকলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে আবার অপারেশন করে বের করে তবে সেই ক্ষতস্থান জোড়া দেওয়া হয় এখানে কিন্তু প্রাথমিক ধাপ টা অনেক সূক্ষ্ম এবং অনেক নিখুঁত ভাবে সম্পন্ন হয়।

তার পরে আসে #কেমো বা #রেডিয়েশন থেরাপি। এখানে দেখতে হবে কোন হাসপাতাল আধুনিক রেডিয়েশন থেরাপি গুলো ইউজ করছে যেমন উদাহরণস্বরূপ বলছি #থ্রি ডাইমেনশনাল কনফর্মাল #রেডিওথেরাপি যেটাকে #থ্রিডি সিআরটি বলা হয় সেটা আছে কিনা। আরো উন্নত পদ্ধতি গুলোর নাম #ইনটেনসিটি মডুলেটেড রেডিওথেরাপি (#IMRT ), #ইমেজগাইডেড রেডিওথেরাপি (#IGRT), #ভলুমেট্রিক মডুলেটেড আর্ক থেরাপি (#VMAT), #স্টিরিও ট্যাকটিক রেডিও সার্জারি এন্ড রেডিওথেরাপি, #টোটাল বডি ইরেডিয়েশন, #এমআরআই বা #পেটসিটিফিউশন, #হাইপ্রিসিশন রেডিওথেরাপি,

#রেডিয়ালআর্কটেকনোলজি। সার্জারির পরবর্তীকালে এই কেমো এবং রেডিয়েশন থেরাপির মুনশিয়ানা ও টেকনোলজি র আধুনিক ব্যবহার কিন্তু একটা রোগীকে সুস্থতার দিকে অনেকখানি এগিয়ে দেয়।

সুতরাং প্রথাগতভাবে চিরাচরিত নামের হাসপাতালে ভিড় না করে সত্যি যদি আপনার ক্যান্সার পেশেন্ট এর প্রতি দায়িত্ব পালন করতে চান, তাকে দ্রুত সুস্থ করতে চান , মনোযোগ দিন তার দ্রুত চিকিৎসা শুরুর দিকে এবং হাসপাতাল বেছে নিন সেভাবেই যেখানে সমস্ত রকম আধুনিক টেকনোলজি আছে এবং তার সাথে ট্রিটমেন্ট টাও খুব দ্রুত হয় এবং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট কোঅর্ডিনেশন টাও খুব সুন্দর ভাবে সাথে সাথেই হয়ে যায়।

আরো বিস্তারিত জানতে গেলে যোগাযোগ করতে পারেন.

ধন্যবাদ।।

Quick Links

Services