Indian Cancer Treatment

Blog

Colorectum Cancer

আজকে আমরা আলোচনা করবো কোলন ক্যান্সার নিয়ে যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় কোলোরেক্টাল ক্যান্সার।

একে মেডিকেল শর্ট ফর্ম এ CRC ও বলা হয়। কোলোরেক্টাল ক্যান্সার বিশ্বে তথ্যের নিরিখে তৃতীয় স্থানে আছে । এশিয়া রিজিয়ন এ এই ক্যান্সার এর হার দিন দিন বাড়ছে আর আমরা সব থেকে কম জানি বা গুরুত্ব দিয়ে থাকি এই কোলোরেক্টাল ক্যান্সার কে।

ক্যান্সার হ’ল এশিয়ার দেশগুলিতে ক্রমবর্ধমান সমস্যা, পশ্চিম দেশগুলির মতো বয়স্ক জনগোষ্ঠী এবং জীবনধারা পরিবর্তনের কারণে এই উপমহাদেশেও রোগের চরিত্র বদলাচ্ছে। পৃথিবীর বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় 60% জুড়ে এই মহাদেশে। জাপান (1), কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (২) এবং সিঙ্গাপুর (3) এর মতো তুলনামূলকভাবে

উচ্চ আয়ের দেশগুলি তে জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলেও উন্নতিশীল বা গরিব দেশ গুলোতে মূলত সঠিক সময়ে স্ক্রিনিং না হবার জন্য এই ক্যানসার বাড়ছে। ।

কোলন ক্যান্সার, কোলন বা মলদ্বার (বৃহদন্ত্রের অংশ) থেকে উৎপত্তি পাওয়া ক্যান্সার। ক্যান্সার কিন্তু কোনো জীবাণু বা ভাইরাস নয় । ক্যান্সার মানে আমাদের শরীরের কোনো অংশের কোষ সমূহের অনিয়ন্ত্রিত এবং অস্বাভাবিক বৃদ্ধি যা শরীরের অন্যান্য অংশগুলিতে আক্রমন বা বিস্তারের ক্ষমতা রাখে।

সর্বাধিক কোলোরেক্টাল ক্যান্সার দেখা যায় বয়স কালে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের ফলে এবং জীবনযাত্রা পরিবর্তনের ফলে। আজকের দিনে আমাদের দৈহিক পরিশ্রম কমে যাওয়া, ওবেসিটি, রেড মিটের অতিরিক্ত ব্যবহার , প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্বের ব্যবহার ( মল কালচার ) , এবং কিছু অসুখ যেমন আই বি এস ( inflammatory bowel syndrome ) , প্রধানত ক্রন ডিসিস, আলসেরাটিভ কোলাইটিস এর জন্য বেশি দায়ী।

কোলন ক্যান্সার অধিকতর সময়েই খুব নিরীহ একটা পলিপ আকারে দেখা দেয় এবং পরবর্তী কালে ক্যান্সার এ রূপান্তরিত হয়। এগুলোর খুব আর্লি ফেস এ ( শুরুর দিকে ) কোনো সিম্পটম থাকে না । সেই জন্যই ৪৫ বা ৫০ বছর বয়স হলেই নিয়মিত স্ক্রিনিং করা খুব দরকার।

কলোরেক্টাল ক্যান্সার এর লক্ষণ এই ক্যান্সার আকার এবং অবস্থানের উপর নির্ভর করে। কিছু সাধারণ সিম্পটমস এর মধ্যে রয়েছে অন্ত্রের অভ্যাসের পরিবর্তন ( পায়খানার অভ্যাসের পরিবর্তন ), স্টুলের স্থায়িত্বের পরিবর্তন ( ডায়রিয়া বা কোষ্ঠ কাঠিন্য ) , মলত্যাগের সময় তাজা রক্ত এবং পেটে অস্বস্তি ( ক্রনিক গ্যাস , ব্যাথা , খামচে ধরার মতো অস্বস্তি ) , হটাৎ ওজন কমে যাওয়া , খিদের তারতম্য, শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদি।

কোলোরেকটাল ক্যান্সার এর চিকিত্সা , ক্যান্সার এর আকার, অবস্থান এবং ক্যান্সার কতদূর বিস্তার হয়েছে তার উপর নির্ভর করে। যদিও আজকের উন্নত পদ্ধতির ফলে অনেক সফল ভাবে কোলন ক্যান্সার এর চিকিৎসা করা যায় তবু বলা হয় যত দ্রুত এটা ধরা পরবে ততো বেশি এর সারভাইভাল রেট হবে। উদাহরণ হিযাবে বলা যায় ৮০% কোলন ক্যান্সার এর পেসেন্ট , ক্যান্সার ধরা পরার পর ও অনায়াসেই ৫ বছর বেঁচে থাকতে পারেন, তবে কোলন ক্যান্সার খুব তাড়াতাড়ি ছড়ায়ে এবং খুব দ্রুত মূলত লিভার , এবং ফুসফুস কে আক্রমণ করে। যদিও শরীরের অন্নান্ন অংশেও এটি ছড়িয়ে পড়তেই পারে।

চিকিৎসা মূলত সার্জারি , কেমো এবং রেডিয়েশন । এই খানেই একটি ক্যান্সার হাসপাতালের মুন্সিয়ানা বোঝা যায়।

এই সার্জারি যত নিখুঁত ভাবে হবে ততো সেই রুগীর জীবনকাল বাড়বে। আর আজকের দিনে নিখুঁত সার্জারির জন্য লাগে উন্নত টেকনোলজি সাপোর্টেড যন্ত্রাংশ। তার পরে কেমো আর রেডিয়েশনেও ফারাক তৈরী করে দেয়। আধুনিক রেডিও সার্জিকাল টেকনোলজি আর ইন্সটুমেন্ট যেমন 4D গেটেড রাপিড আর্ক্ টেকনোলজি মুভিং ক্যান্সার টিউমার এর জন্য , ট্রিপল এফ রেডিও সার্জেরী ( সি- সিরিজ লিনিয়ার এক্সেলারেটর ) ইত্যাদির মাদ্ধমে খুব দ্রুত রুগী ভালোর দিকে যায় ।

সুতরাং যখন ই কেউ পেটের সমস্যায় বহু দিন ধরে ভুগছেন , তখন বার বার শুধু মাত্র গ্যাসের জন্য হচ্ছে , সেটা না ভেবে একটা পুরো স্ক্রিনিং করিয়ে নিন, বিশেষ করে যদি আপনার বয়স ৪৫ এর উপরে হয় এবং নির্মূল করুন এই রোগের হবার সম্ভাবনা।

বিশদে জানতে বা নিজস্সো কোনো জিজ্ঞাস্য থাকলে বিনা দ্বিধায় যোগাযোগ করতে পারেন নিরপেক্ষ পরামর্শের জন্য।

ধন্যবাদ।

Quick Links

Services