Indian Cancer Treatment

+91 9051161900 / +8801744-415158

contact@indiancancertreatment.com

Blog

প্রোস্টেট ক্যান্সার

আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় প্রোস্টেট প্রব্লেম ।

যাদের জন্য বা যে বয়সের রুগীদের উদ্দেশ্যে এই  লেখা তাদের কে প্রোস্টেট সম্বন্ধে আমার মনে হয় অকারণে কথা ( অযথা  জ্ঞান )  বাড়িয়ে লাভ নেই, বরং সমস্যা ও সমাধানে  সোজাসুজি আসি।

প্রোস্টেট গ্লান্ড যদি বড় হয়ে যায় যে প্রব্লেম গুলো দেখা যায় সাধারণত, সেগুলি হলো ………..

১। প্রস্রাব এর পর ও টপ টপ করে পরা

২। প্রস্রাবের সময় ব্যাথা বা  জ্বালা পোড়া

৩।ঘনো ঘনো মূত্র ত্যাগের তাগিদ

৪। প্রস্রাবের সাথে রক্ত

৫। কোমরে ব্যাথা বা স্টিফনেস।

৬। প্রস্রাব চেপে রাখতে সমস্যা ।

যে ধরণের প্রোস্টেট সংক্রান্ত রোগ গুলো সাধারণত পুরুষদের মধ্যে দেখা যায় সেগুলি হলো…………

এ) বিনাইন প্রোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া / BPH  –

     এর অর্থ প্রোস্টেট গ্লান্ড টি স্ফীত হয়েছে সাধারণ আকারের

     চেয়ে কিন্তু এটা ক্যান্সার নয়।

     এই ক্ষেত্রে উপরোক্ত অসুবিধা গুলি রুগী ফেস করেন। এর

      চিকিৎসা সাধারণত একটু ধীরে সুস্থে দেখে শুনে করা হয়।

      প্রথমে ওষুধ দিয়ে দেখা হয় যে প্রোস্টেট এর স্ফীত ভাব কমছে

       কিনা। কিন্তু যদি ওষুধে না কমে তখন সার্জারি ছাড়া গতি নেই।

বি) ক্রনিক প্রোস্টাইটিস

 ( ক্রণিক পেলভিক পেন সিনড্রোম / CPPD )  –

    এটা খুব ই কমন প্রব্লেম । এক্ষেত্রে কোমরে ব্যাথার পাশাপাশি

    কুঁচকি এবং পেনিস এর মুখে ও ব্যাথা হয়। এই ধরণের রুগীদের

    ইজাকুলেশন এ ব্যাথা হয়, ঘনো ঘনো প্রস্রাব পায় কিন্তু একেক

    বাড়ে অল্প পরিমান প্রস্রাব হয়।

সি ) প্রস্টেট ক্যান্সার – প্রোস্টেট এর প্রব্লেম অনেক সময় ই ক্যান্সার

      এর রূপ নেয়। সেই জন্যই প্রোস্টেট বড় হলে বা প্রোস্টেট এ 

      ইনফেকশন হলে , পুষে না রেখে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার ব্যবস্থা

      করা প্রয়োজন। দেখা গেছে যে জনগোষ্ঠীর মধ্যে ফ্যাটি খাবার

      খাবার প্রবণতা বেশি , এবং ফ্যামিলি হিস্ট্রি তে কারোর যদি

      বাপ্ ঠাকুরদার প্রোস্টেট ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে তাদের এই

     রোগ হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

প্রস্টেট ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়া এবং পরীক্ষাগুলি হলো –

* রেকটাল পরীক্ষা

◦ আল্ট্রাসাউন্ড

* প্রোস্টেট-নির্দিষ্ট অ্যান্টিজেন (পিএসএ) স্তরের মূল্যায়ন।

কিন্তু নিশ্চিত হয়ে প্রোস্টেট ক্যান্সার বলতে গেলে টিসু বায়প্সি করতেই হয়।

প্রোস্টেট ক্যান্সার এড়ানোর সব থেকে ভালো উপায় হলো যেকোনো প্রোস্টেট সংক্রান্ত অসুখ হওয়া মাত্র তার চিকিৎসা শুরু করা।

যেকোনো রকম প্রোস্টেট এর অসুখ ইউরোলজিস্ট রা চিকিৎসা করেন। আর প্রোস্টেট ক্যান্সার এর জন্য দেখতে হবে ইউরো অনকোলজিস্ট

Quick Links

Services